Computer : Computer শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Computare
থেকে এসেছে, যার আভিধানিক অর্থ Calculating Matchine.
আসলে Computer কী, কাকে বলে, এ বিষয়ে তোমরা হয়তোবা অনেক শুনেছ জেনেছ তাই এই বিষয়ে
বাড়াবাড়ি করতে আমার ইচ্ছা কারতেছেনা।তবু শুরু যখন করলাম দুঃখটা মনে রেখে কি লাভ
একটু বলেইপেলি মনের দুঃখটা।
আসলে মনের দুঃখটা আমার না দুঃখটা
হচ্ছে চার্লস ব্যাবেজের।চার্লস ব্যাবেজ যে অফিসে চাকরি করত সেখানে তার প্রচুর
গাণিতিক হিসাব নিকাশ করতে হত ,আর তখন হিসাব নিকাশের কোন যন্ত্র ছিল না। তাই হিসাব
করতে হত যেভাবে আমরা অংক করতাম ক্লাশ
ত্রি-ফোরে,মনে আছে বার বার অংক করতাম ৪৫*২=৪৭ লিখতাম আর স্যার এসে মাইর দিয়ে বলত
আরে গাধা এখনো গুন অংক পারিসনা,তখন মাইর খাওয়ার পর মনে হত আরে এটাতো গুন অংক।এরপর
আবার করে সবার আগে চিৎকার দিয়ে বলতাম স্যার আমি করে ফেলেছি ৪৫*২=৮০ কিলোমিটার
আমেরিকার দূরত্ব। স্যার তখন হেঁসে দিয়ে বলতেন আরে তুমি আমেরিকার কাছাকাছি চলে গেছ
আরেকটু সামনে ১০ কিলোমিটার হাঁট তাহলেই আমেরিকা পাবে।ছুটি শেষে বাড়িতে গিয়ে আবার
ঠাণ্ডা মাথায় হিসেব করতাম তখন হত ৪৫*২=৯০ এবং বলতাম ও তাহলে এটাই সত্য যে আমাদের
বাড়িতেকে আমেরিকা ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।পরদিন স্যার বলত এবার বলতো চাঁদের
দূরত্ব কত?তখন চিন্তা করতাম আমেরিকা আমাদের বাড়িতেকে দেখাযায় না তার দূরত্ব যদি ৯০
কিঃমিঃ হয়,তাহলে চাঁদতো আমাদের বাড়ির উপর তাকে তাহলে তার দূরত্ব আমেরিকার চেয়ে কম
হবে তাই বলতাম স্যার ৪৫*২=৯০ হাত দূরে চাঁদ অবস্থিত।আর কয়েকজন বলত এটা হতেই পারে না স্যার।তখন আমার
কথা মিথ্যা প্রমাণের জন্য বন্ধুরা মেশিনের মত অংক করতে তাকত।আচ্ছা আমার কথা বাদ
দেই আসি ব্যাবেজের কথায়,ব্যাবেজের যখন প্রচুর হিসেব করতে হত তখন তার মেশিনের মত
কাজ করতে হত।আর কোন কোন দিন বার বার সেই হিসেবে ভুল হয়ে যেত। একদিন সে অফিসে বসে
চিন্তা করল মানুষকে যদি মেশিনের মতই কাজ করতে হয় তাহলে মানুষ এমন একটা মেশিন
বানায়না কেন যে মানুষের সমস্থ কাজ করে দিবে।
তাই একদিন তিনি তার মনের দুঃখনিয়ে
গেলেন বিলেতের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির কাছে,এবং তাদেরকে প্রস্তাব
দিলেন যে আমি হিসেব নিকেশের জন্য ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে একটি যন্ত্র তৈরি করতে
চাই।যা হিসাবের পাশাপাশি হিসাহকৃত ফলাফল কাগজে ছেপে দিবে।তখন তার কথায়
অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি রাজি হয়ে গেল এবং তারা ব্রিটিশ সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থ
সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করল আর ব্রিটিশ সরকারও প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দিতে
রাজি হয়ে গেল।ঘটনা এখানেই শেষ নয় শুরু করলেন তার কাজ,কিন্তু তখনকার সময়ে তার
কাজটা/পরিকল্পনাটা ছিল সুরমা নদীতে হাঙ্গর শিকারের স্বপ্নের মত।এর মানে হচ্ছে
সুরমা নদীতে হাঙ্গর পাওয়া যায় না হাঙ্গর পেতে হলে সাগরে যেতে হবে অর্থাৎ নদী
হাঙ্গরের জন্য উপযুক্ত না।আর ব্যাবেজ যে যন্ত্রটি বানানোর পরিকল্পনা করেছিল তখনকার
প্রযুক্তি তার পরিকল্পনা বাস্থবায়নের জন্য উপযুক্ত ছিলনা।কাজ করতে গিয়ে তিনি
দেখলেন আসলে পরিকল্পনা করা যত সহজ বাস্থবায়ন করা মোটেও অত সহজ নয়।ফলে ব্যাবেজ
যন্ত্রটির কাজ আর সম্পন্ন করতে পারলেন না।১৮৩২ সালে যন্ত্রটির কাজ এক সপ্তমাংশ
নির্মাণ করতেই সরকার কতৃক বরাদ্দ কৃত অর্থ শেষ হয়ে যায়।সরকার আর অর্থ দিতে রাজি না
হওয়ায় তার কাজ এখানেই থেমে গেল।
আসলে ব্যাবেজ ছিলেন একজন গণিতবিদ।গণিতবিদ,বিঞ্জানী বা কোন বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা
তো আর বসে তাকেনা তার মাথায় নতুন আরেকটি চিন্তা আসল আর তা হল তিনি ভাবলেন আমি
অ্যানালিটিক্যাল নামে আরেকটি যন্ত্র তৈরি করব যা ডিফারেন্স ইঞ্জিনের চেয়েও উন্নত
হবে।লোকজন বলতে লাগল আরেমিয়া আগেরটাই তো পারেননি এখন আবার কি বানাবেন এই বলে কেউ
কেউ হাসাহাসি করতে লাগল।আর ব্যবেজ কারো কাছতেকে কোন টাকা পয়সা না পেয়ে নিজের
সম্পত্তির সমস্থ আয় দিয়ে অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন বানানোর কাজ শুরু করলেন দুর্ভাগ্য
বশত তিনি এই যন্ত্রটিরও কাজ শেষ করতে পারেন নি।মনের দুঃখ মনে নিয়েই ১৮৭১ সালে তিনি
মারা যান।তার মৃত্যুর পর তারই একজন সহযোগী কবি লর্ড বায়রনের কন্যা এডা অগাস্টা
চিন্তা করলেন অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের যতটুকু অংশ বানানো হয়েছে ততটুকু দিয়ে কোন
কাজ করা যায় কিনা।এই চিন্তা করতে করতে তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য
প্রোগ্রাম করে ফেললেন,এবং যন্ত্রটি দিয়ে ৩১ টি পর্যন্ত সংখ্যর ৫০ টি যোগ,বিয়োগ,গুন,ভাগ
এর কাজ করা যেত।আর অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনে প্রথম প্রোগ্রাম করার মধ্য দিয়ে শুরু
হল প্রোগ্রামিং এর পথ চলা।
এর প্রায় ১০০ বছর পর শুরু হল ২য় বিশ্ব যুদ্ধ জার্মানরা তাদের সৈন্য বাহিনী
দিয়ে একের পর এক দেশ দখল করতে লাগল, এবং তারা এমন একটা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিল
যার দ্বারা অনেক দূরে অবস্থিত কোন কোন শত্রুর জাহাজকে টর্পেডো মেরে ডুবিয়ে দিত,
ফলে তারা শত্রুর হাত থেকে তারা বেচে যেত। আমেরিকা চিন্তায় পরে গেল।তারাও এরকম কিছু
একটা বানানোর পরিকল্পনা করল।শত্রুর লক্ষ্য স্থলে হিসাব-নিকাশ করে গুলি ছোঁড়া,
শত্রুর লক্ষ্য স্থলে সঠিক ভাবে আঘাত করা- এসব চিন্তা মাথায় নিয়ে আমেরিকার
সেনাবাহিনী ব্যালিস্টিক গবেষণা শুরু করে। ১৯৪২ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী মুর
ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের একদল বিজ্ঞানীকে এ দায়িত্ত দেন- এমন একটি গোপন যন্ত্র তৈরি
করে দিতে হবে, যা কামানের গোলার গতিপথ খুব তাড়াতাড়ি হিসেব করে দিতে পারবে।
লেখক মোঃ আল আমিন(SPI CSE)
The heart of Programming C থেকে নেওয়া হয়েছে ।
ধন্যবাদ ।।অনেক সুন্দর হইসে /...
ReplyDeleteআরো ইনফর্মেশন জানতে ভিসিট ক্রুন
http://www.techofduty.com/2016/12/wordpress.html
thank you for comment
Deletevery informative. You can checkout my article http://www.natureconservationbd.cf/2016/12/blog-post_16.html
ReplyDeleteThank you for comment.
Delete