World Technology

তরুণরা গড়বে নতুন দেশ ডিজিটাল হবে বাংলাদেশ
Responsive Ads Here

Monday 12 December 2016

জ্ঞান আহরণের চেয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার আনন্দই হোক শিক্ষা প্রদানের মূলনীতি।









আবার ছাত্র জীবনে একটা সময়ের পর আর্থিক সহায়ক হিসেবেও টিউশন মিডিয়ার অবধান অনেক বেশী। যার ফলে মধ্যবিত্য এবং নিন্মমধ্যবিত্য পরিবারের উপর পড়ালেখা খরচের যে বাড়তি চাপ তা অনেকটা কমে যায়। টিউশন মিডিয়ার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে আমাদের সমাজের বেশ কিছু মানুষ। এই মিডিয়াগুলো সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পাড়ছেন বলেই এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। আজ পত্রিকায় পড়লাম আমাদের দেশে বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকার কোচিং বাণিজ্য হয়। তবে ভাবন টিউশন মিডিয়ার সংখ্যা কত; আর কত সংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

একজন ভাল ছাত্র সবসময় ভাল শিক্ষক নাও হতে পাড়েন। আমি বিশ্বাস করি, টিউশন মিডিয়ারগুলো এ বিষয় মাথায় রেখেই শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। কারণ বর্তমানে টিউশন মিডিয়াগুলোর সংখ্যা বেশী হওয়ার কারনে এদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশী, ফলে এই মিডিয়ারগুলোর অস্তিত্ব অনেকটা ভাল মানের শিক্ষা প্রদানের উপর নির্ভর করে। এখন সরকার কোচিং- টিউশন মিডিয়াগুলোকে “ছায়া শিক্ষা” হিসেবে বৈধতা দিচ্ছে, যেখানে মিডিয়াগুলো শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানের সহযোগী হয়ে কাজ করবে।



প্রশ্ন হচ্ছে স্কুল কলেজ থাকতে টিউশন মিডিয়া উপর এত নির্ভরশীলতা কেন; শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানে সঠিক ভাবে শিক্ষা প্রদান কোন না কোন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে; অযুজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ এবং অপর্যাপ্ত শিক্ষক।

এই টিউশন মিডিয়া একদিকে যেমন আশীর্বাদ অন্যদিকে বিপদজনকও বটে। ভাল কাজের উদ্দেশ্য সবসময় ভালনাও হতে পাড়ে। কেউ সঠিকভাবে শিক্ষা প্রদানের লক্ষে এই টিউশন মিডিয়া প্রচার করছে। আর কেউবা মুলত টাকা উপার্জনের লক্ষে। কিছু মানুষ আবার এ মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

টিউশন মিডিয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়ের উপর সরকারের সঠিক নজরদারির মাধ্যমে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড” এবং তা দৃঢ় করে গড়ে তোলার জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতায় সঠিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিকল্প নেই।

No comments:

Post a Comment

Thank You for your Structural Comment||